মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের মতে ড্রেসিং রুমে একের বেশি অধিনায়ক কখনোই ভালো ফলাফল আনবে না। তিনি বলেন, 'ধরেন আমি সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক। একজন ধরেন বিশ্বকাপের অধিনায়ক আরেকজন টেস্ট দলের অধিনায়ক। আমি যখন লাল বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক, আমার কাছে কিছু প্লেয়ার থাকবে যারা আমার আশে পাশে ঘুরঘুর করবে। যখন একটা সাদা বলের অধিনায়ক আসে, তখন সে ওখানে থাকলে বলবে, তুই এখান থেকে ভাগ।'
তিনি আরও বলেন, 'আস্তে আস্তে এগুলো সৃষ্টি হয়। ধরেন সাদা বলের কোনও অধিনায়ক খারাপ করছে, লাল বলের কেউ হয়ত ভালো। তখন লাল বলের অধিনায়ক বলবে ওর অধিনায়কত্ব হয় না, ওর ফিল্ডিং সেট আপ হয় না। এরে খেলাচ্ছে, ওরে খেলাচ্ছে। এই যে সংস্কৃতিটা শুরু হয়, সেটা খারাপ। একটা দেশে লিডার দশজন হয় না, একজনই হয়। আপনি একজনকেই লিডার বানান, যে সবকিছু দেখবে। দশজনকে বানান, মাথাটা ঘুরে যাবে।'
অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গটি ওঠে মূলত নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব করা নিয়ে। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে খেলেননি সাকিব। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে শান্তর চেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভালো করতে পারতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবেই এসব বলেন সালাহউদ্দিন।
এই কোচ আরও বলেন, 'ড্রেসিং রুমে আল্লাহর ওয়াস্তে বেশি অধিনায়ক বানায়েন না। বেশি অধিনায়ক হয়ে গেলে কী হয় সেটা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও আপনারা টের পাবেন। এখন হয়ত ভালো বন্ধুত্ব আছে। দুদিন পর আপনারা পাঁচটা অধিনায়ক বানিয়ে দেবেন। তখন দেখবেন ড্রেসিং রুমের অবস্থা কী হয়। আমি হাত জোড় করে বলছি, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ড্রেসিং রুমে বেশি অধিনায়ক বানায়েন না।'